কাঠ ছাড়াও বেত, বাঁশ, রট আয়রন আর গাছের গুঁড়ির টেবিল পাওয়া যায়। গোলাকার ও আয়তাকারের পাশাপাশি ডিম্বাকার, ষড়ভুজাকৃতির খাবার টেবিলও পাওয়া যাচ্ছে। ছোট ঘরে কম উচ্চতার খাবার টেবিল থাকলে ঘর বড় দেখায়। সেই সঙ্গে চেয়ারের উচ্চতাও সংগতিপূর্ণ হতে হবে। আর ছোট জায়গার জন্য গোলাকার টেবিল আদর্শ। আর বড় জায়গায় ডিম্বাকার, আয়তকার, ষড়ভুজাকৃতি মানে যে কোনো রকমই বেছে নিতে পারেন। ঘরের আয়তন ও পরিবারের সদস্য সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে খাবার টেবিল নির্বাচন করুন। টেবিল নির্বাচনের আগে খাবার ঘরের মোটিফ নিয়ে ভাবুন। বাঙালিয়ানায় ঘর সাজাতে বেত বা বাঁশের টেবিল নিন, আর মডার্ন সাজে রট আয়রন বা নকশাদার কাঠের টেবিল নিতে পারেন। গ্লাসটপ দেওয়া কাঠের গুঁড়ির টেবিল সব সাজের সঙ্গেই মানায়।
টেবিল কভার
টেবিল কভার কাপড়, প্লাস্টিক ও রাবারের হয়ে থাকে। টেবিল কভারগুলো পিস ও গজ হিসেবে বিক্রি হয়। বিভিন্ন রঙের কভারে ফুল, ফল ও ছাপা নকশা পাওয়া যায়। চাইলে নিতে পারেন একরঙা টেবিল কভার। টেবিলের ধরন অনুযায়ী টেবিল কভার পাবেন। টেবিল কভারের সঙ্গে রানার বা ম্যাট হবে বিপরীত। অর্থাৎ টেবিল কভার প্রিন্টেড হলে রানার ও ম্যাট হবে একরঙা। আর একরঙা কভারের মঙ্গে কালারফুল রানার ও ম্যাট নিন।
টেবিল ম্যাট
বিভিন্ন ধরনের টেবিল ম্যাট পাওয়া যাচ্ছে। যেমন বাঁশ, রাবার, ফাইবার, প্লাস্টিক, কাপড় ও পাটের। ছোট, মাঝারি ও বড়র সঙ্গে গোল, চারকোনা, ত্রিকোনা ও ডিম্বাকার হয়। ম্যাটগুলো সাধারণত সেট হিসেবে বিক্রি হয়। বাঁশের তৈরি বিভিন্ন রঙের টেবিল ম্যাটের চাহিদাই বেশি। দেশীয় আমেজ চাইলে ব্যবহার করুন শীতল পাটি বা নকশিকাঁথার ম্যাট। এ ছাড়া ব্লকপ্রিন্ট, স্ক্রিনপ্রিন্ট, হাতের কাজ ও এমব্রয়ডারি করা টেবিল ম্যাটও পাবেন। রানারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ম্যাট ব্যবহার করুন। রানার দেশীয় উপকরণের হলে ম্যাটও হবে দেশীয় আমেজের।
রানার
রানার দিয়ে টেবিলের বাড়তি সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে পারেন। কাপড়, পাট ও রাবারের রানার বিভিন্ন সাইজের রয়েছে। লাল, নীল, হলুদ, সবুজ রঙের নানান নকশার রানার হয়। ব্লকপ্রিন্ট, স্ক্রিনপ্রিন্ট, হাতের কাজ ও এমব্রয়ডারি করা রানার সব টেবিলের সঙ্গেই মানিয়ে যায়। টেবিল রানার সাধারণত লম্বা হয়। লম্বা আকৃতির বা ডিম্বাকার টেবিলেই বেশি মানানসই। দুই পাশে ঝুলিয়ে দিলে ভালো দেখাবে। গোল বা চতুর্ভুজাকৃতির টেবিলে চারকোনা টেবিল রানার ব্যবহার করুন।
টেবিলের সাজগোজ
আধুনিক খাবার টেবিলে সিরামিকের পাত্র আর ট্র্যাডিশনাল সাজে মাটির প্লেট-গ্লাস ও পাত্র ব্যবহার করুন। খাবার ঘরের অন্য আসবাব ও সাজ খাবার টেবিলের মোটিফেই হওয়া উচিত। পর্দা ও দেয়াল শোপিস মোটিফ অনুযায়ী বেছে নিন। আকার বুঝে টেবিল সাজান। অনেক গৃহসজ্জা সামগ্রী একত্রে রাখবেন না। ছোট টেবিল হলে মাঝখানে একটা ফুলদানি বা রঙিন মোমবাতি স্ট্যান্ড বা একটা চামচ স্ট্যান্ড রাখুন।
একটা ফলের ঝুড়ি রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে টেবিলের আকার খেয়াল রাখুন। টেবিল আয়তকার হলে মোমদানি, ফলের ঝুড়ি আর চামচস্ট্যান্ড সারি করে সাজান। ডিম্বাকার টেবিলে গুচ্ছ করে সাজাতে পারেন। ফুল গৃহসজ্জার সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়ে দেয়। ফুলদানিতে একগুচ্ছ তাজা ফুল রাখুন। সম্ভব না হলে কৃত্রিম ফুলও ব্যবহার করতে পারেন। বড় টেবিলে ফুলদানির পরিবর্তে ইকেবানা বেছে নিন।
No comments :
Post a Comment