প্রথমেই আপনার টেবিলের ধরন অনুযায়ী টেবিল ক্লথ বেছে নিন। অবশ্য ইদানিং অনেক পরিবারের গ্লাস-ফ্রেম ডাইনিং টেবিল ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে টেবিল ক্লথের ঝামেলা অনেকটাই এড়ানো যায়। ক্ষেত্রে শুধু লম্বা বা কোণাকৃতির ম্যাট বসিয়ে নিতে পারেন। এসব ম্যাটে আরেকটা সুবিধাও আছে।
এতে খাবারের বাড়তি তাপটুকু শুষে নেয়। যাদের খাবারের টেবিল কাঠের তাদের ক্ষেত্রে টেবিলটা ভালভাবে বার্নিশ করে নিলেই ভাল হয়। এবার ঘরের দেওয়ালের রঙ আর আসবাবের রঙের দিকে খেয়াল রেখে টেবিল ক্লথ বেছে নিন। অবশ্য যারা নতুন করে টেবিল ক্লথ কিনতে চান না তারা পুরনো কাপড়ে পাড় লাগিয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে টেবিল ক্লথের কিনার ঘেষে লেইস লাগিয়ে নিতে পারেন, যা ক্লথে অন্যরকম একটা লুক আনবে। তবে এক্ষেত্রে যা কাজ করার টেবিল ক্লথের কিনার ঘেষেই করুন। কেননা মাঝখানে যেহেতু খাবার রাখা হবে তাই সেখানে কারুকাজ করলে তা না দেখার সম্ভাবনাই বেশি হবে। টেবিল ক্লথে থাকতে পারে এপলিকের কারুকাজ, ব্লক বা টাইডাইও থাকতে পারে। তবে রঙের ক্ষেত্রে গাঢ় রঙটাকেই একটু বেশি প্রাধাণ্য দেন। কেননা যেহেতু খাবার দাবারের ব্যাপার তাই ঝোল তরকারি একটু আধটু পড়তেই পারে।
কি দিয়ে সাজাবেন টেবিল?
কাঁচের টেবিলের ক্ষেত্রে টেবিলের নিচে শতরঞ্জি পেতে দিলে ভাল হয়। চেয়ার প্রতি একটি করে প্লেট ম্যাট বিছিয়ে দিন। আজকাল তালের আঁশ, বাঁশ, মাদুর চিক, পাটের কুরুশের কাজের টেবিলের ম্যাট পাওয়া যাচ্ছে অহরহ। এছাড়াও সুতি কাপড়ের ওপর এপলিকের, নকশিকাঁথা ফোঁড়, ব্লক, টাইডাই ইত্যাদি কাজের ম্যাটও আছে। বাঁশের ম্যাটারিয়ালে তৈরি লম্বা রানার বিছিয়ে দিতে পারেন টেবিলে। হতে পারে এগুলো গোলাকার, ওভাল বা চৌকোণাকৃতির। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেটে টেবিল ম্যাট, রানার, টেবিল ক্লথ, টিকোজি, টিস্যু বক্স কাভার ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে। চেয়ারে কভার ক্লথ দিতে পারেন। আর যদি একটু নতুনত্বের ছোঁয়া দিতে চান তবে হাল ফ্যাশনের বিভিন্ন ধরনের কুশন রাখতে পারেন চেয়ারে। পুরনো শাড়ি কেটেই করতে পারেন কুশন কভার।
টেবিলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য মাঝখানে খাটো ডাঁটার ফুল রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে গোলাপ, কাঠগোলাপ বা যেকোন মৌসুমী ফুল থাকতে পারে আপনার পছন্দের তালিকায়। এছাড়া আজকাল বিভিন্ন সুগন্ধি মোমবাতি পাওয়া যায় বাজারে। ইচ্ছে হলে এগুলো দিয়েও সাজাতে পারেন টেবিল।
টেবিলের চারপাশের সাজ
টেবিলে আলো যাতে ঠিকভাবে পড়ে সেজন্য বেছে নিতে পারেন বিভিন্ন ধরনের ঝুলন্ত ল্যাম্পশেড। এক্ষেত্রে কাগজ, কাপড়, বাঁশ, মাটি, চীনামাটি, কাঠ ইত্যাদি ম্যাটারিয়ালের ল্যাম্প শেডের বৈচিত্র্যময় কালেকশন থেকে বেছে নিন আপনার পছন্দের ল্যাম্পশেড। খাবার ঘরের যে কোন প্রান্তে সারি সারি করে সাজিয়ে রাখতে পারেন কয়েকটি গাছের টব। আর পর্দার রঙ যদি জ্বলে যায় বা নষ্ট হয়ে যায় তবে তাতে একটু ব্লকের ছোঁয়া দিয়ে নিন। এছাড়া বাঁশ বা বেতের চিকও লাগাতে পারেন। জানালের এক চিলতে জায়গায় ইচ্ছে করলে রাখতে পারেন ইনডোর প্ল্যান্ট। এবারে দেয়ালে একটু অন্যরকম পরিবেশ আনতে ঝুলিয়ে দিন কোন পেইন্টিং বা নকশি কাঁথা। ব্যস, সাজানো হয়ে গেল আপনার খাবার টেবিলসহ খাবার ঘর।
Online Casino Site: Casino site (CZ) - Lucky Club
ReplyDeleteEnjoy a great experience playing with the online casino site. Find out everything you need to know before playing on luckyclub.live the casino. Rating: 4 · 4 votes