Sunday, June 29, 2014

বসার ঘরের সাজসজ্জা



ঘরের কিছু কিছু জায়গা থাকে, যা সবাই ব্যবহার করেন। যেমন - বসার ঘর (লিভিং রুম) ও করিডর (প্যাসেজ)। বসার ঘরের সাজসজ্জা প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই সাজানো উচিত। কিভাবে সাজাবেন লিভিং রুম আর করিডর, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন রেডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনার গুলশান নাসরিন চৌধুরী।
আড্ডার ঘর
হড্রয়িং রুম ছাড়াও প্রায় সব ফ্ল্যাটেই এখন লিভিং রুম থাকে। এখানে পরিবারের সবাই অবসরে টিভি দেখে, বই পড়ে, গান শুনে বা বিশ্রামের জন্য কিছুটা সময় কাটায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লিভিং রুমের জায়গাটি থাকে খোলা, অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোনো দরজা থাকে না। লিভিংয়ের সাজনির্ভর করে ঘরের কোন অংশে এর অবস্থান তার ওপর।
হলিভিং স্পেস মাঝখানে হলে দুই পাশে কম উচ্চতার সোফা এবং এক কোণে টিভি রাখুন। চাইলে কার্পেট, শতরঞ্জি বা শীতলপাটি দিয়ে ফ্লোরিংও করতে পারেন। এর ওপর ছোট-বড় কয়েকটি রঙিন কুশন দিন। সঙ্গে রাখুন কিছু ইনডোর প্লান্ট।
হলিভিং কর্নারে হলে একপাশে ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, ডিনার ওয়াগন, ওভেন ইত্যাদি রাখুন। এগুলো সবারই প্রয়োজন। আর একপাশে ইচ্ছামতো বসার ব্যবস্থা করে টিভি রাখুন। লো হাইট সোফা বা ফ্লোরিংয়ের সঙ্গে কয়েকটি মোড়া বা টুলও রাখতে পারেন।
হলিভিং রুম একটু বড় হলে দেয়ালজুড়ে একটা বইয়ের তাক বানাতে পারেন। টিভি দেখার পাশাপাশি অবসরে বই পড়ার চমৎকার জায়গা হতে পারে লিভিং রুমটি।
হঘরে শিশু থাকলে লিভিংয়ের একটি কর্নার সাজাতে পারেন তার জন্য। ছোট আকারে তৈরি করুন একটি খেলাঘর, সেখানে রাখুন পুতুল, গাড়ি, ছোট একটি টেবিল, ছবি আকার সরঞ্জাম ইত্যাদি।
হলিভিংয়ের সাজে দেয়ালও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ জায়গাটি শুধুই পরিবারের সদস্যদের। তাই দেয়ালে সাজাতে পারেন পারিবারিক ছবি। দেয়াল বড় হলে ৬ ইঞ্চি ূ ৩ ইঞ্চি ফ্রেমে সাদাকালো থেকে রঙিন ছবি কোলাস করে সাজাতে পারেন। পারিবারিক ছবি রাখতে না চাইলে ৫ ইঞ্চি ূ ২.৫ ইঞ্চি মাপের কোনো পেইন্টিং, সিনারি বা ফ্লোরাল ফ্রেম দিয়ে সাজান।
হবাচ্চাদের কর্নারের দেয়ালটি সাজাতে পারেন বিভিন্ন কার্টুন চরিত্র_মিকি মাউস, সিনড্রেলা, ডোরেমন এবং অ্যানিমেশন ছবি দিয়ে।
হবইয়ের র‌্যাক বানানোর পর্যাপ্ত জায়গা না থাকলে দেয়ালে তাক দিয়েও ছোট আকারে বই রাখতে পারেন। একইভাবে শোপিস র‌্যাকও বানাতে পারেন দেয়ালে।

করিডর
হএখানকার ফ্ল্যাটের প্যাসেজের আয়তন সাধারণ তিন থেকে চার ফুট হয়। প্যাসেজের সাজও নির্ভর করে প্যাসেজের অবস্থানের ওপর।
হমূল দরজার প্রবেশ পথে প্যাসেজ হলে দেয়ালে পারিবারিক ছবি না রাখাই ভালো। বরং দেয়ালে সাজান আয়না বা দেশ-বিদেশের বাঁধাই করা বড় ছবি।
হপ্যাসেজ কিছুটা বড় হলে দেয়ালের সঙ্গে মিশিয়ে রাউন্ড বা ওভাল শেপের ডেকোরেটিভ টেবিল রাখতে পারেন। আর দেয়ালে নকশাদার ফ্রেমে একটি ভালো শেপের আয়না। ডেকোরেটিভ টেবিলের ওপরে রাখুন শোপিস, কৃত্রিম ফুলের ঝাড়। টিস্যু বঙ্ আর সঙ্গে কিছু সুগন্ধি মোমবাতি।
হপ্যাসেজে জুতার র‌্যাক বানাতে চাইলে দেয়ালের সঙ্গে মিলিয়ে শু র‌্যাক বঙ্ আকারে তৈরি করে নিন। ডেকোরেটিভ টেবিলের মতোই শু র‌্যাকের ওপরে কিছু ডেকোরেটিভ আইটেম রাখুন।
হএকটু ভিন্ন আমেজে প্যাসেজ সাজাতে চাইলে দেয়ালে মাঝ বরাবর এক ফুট জায়গা মার্বেল পাথর, টেরাকোটা বা স্টোন দিয়ে ডিজাইন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে দেয়ালে অন্য কোনো সাজের প্রয়োজন নেই।
দেয়ালের নিচে সারি বেঁধে কয়েকটি ইনডোর প্লান্ট রাখুন।
হকরিডর ফ্ল্যাটের ভেতরের অংশে হলে দেয়ালে পারিবারিক বিভিন্ন ছবি দিয়ে সাজাতে পারেন অথবা দেয়ালের ওপরের অংশ ৪ ইঞ্চি ূ ৬ ইঞ্চি আকারের তাক বানিয়ে তাতে বিভিন্ন শোপিস এবং ডেকোরেটিভ আইটেম রাখতে পারেন।
হসম্ভব হলে প্যাসেজের ফলস সিলিং দিয়ে রঙিন আলোর ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে প্যাসেজের সাজটা আরো মায়াবী হয়ে উঠবে।

বসার ঘরের সাজসজ্জা

Share:

Post a Comment

Facebook
Blogger

No comments :

Post a Comment

Follow Us

About Us

Advertisment

Like Us

© ন ক শী All rights reserved | Theme Designed by basharnirjhor